Wednesday, February 28, 2018

বালিয়াটি জমিদার বাড়ি, মানিকগঞ্জ

শহরের ভিড় আর হট্টগোলের ভেতর বেড়ানোর প্রশান্তিটা আর মেলে কোথায়! কর্মব্যস্ত একটি সপ্তাহ কাটানোর পর অনেকেই চান বিরতি। ছুটির দিনে কোথাও পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারলে আরো ভালো। শহর ছেড়ে দূরে কোথাও যাবেন সে সময়টাও তো নেই, কারণ ছুটি মাত্র একদিনের!



রাজধানী ঢাকার সীমানা পেরোতে পারলেই মানিকগঞ্জ জেলার শুরু। ঘুরে আসতে পারেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানার বালিয়াটি ইউনিয়নে অবস্থিত "বালিয়াটি জমিদার বাড়ি" থেকে। দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসতে পারবেন।


বালিয়াটি জমিদার বাড়ির কিছু কথা 
মানিকগঞ্জ জেলার পুরাকীর্তির ইতিহাসে বালিয়াটির জমিদারদের অবদান উল্লেখ যোগ্য। বালিয়াটির জমিদারেরা ঊনিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে আরম্ভ করে বিশ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক বছর বহুকীর্তি রেখে গেছেন যা জেলার পুরাকীর্তিকে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছে। বালিয়াটির পাঠান বাড়ীর জমিদার নিত্যানন্দ রায় চৌধুরীর দু’ছেলে বৃন্দাবন চন্দ্র রায় চৌধুরী এবং জগন্নাথ রায় চৌধুরীর মাধ্যমে বালিয়াটির নাম দেশে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। বালিয়াটিতে আজও দু’বেলা রাধা বল্লব পূজো হচ্ছে। বালিয়াটিতে ১৯২৩ সালের দিকে জমিদার কিশোরী রায় চৌধুরী নিজ ব্যয়ে একটি এলোপ্যাথিক দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন। বর্তমানে এটি সরকারী নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। জমিদার হীরালাল রায় চৌধুরী সাটুরিয়া থেকে বালিয়াটির প্রবেশ পথের পাশে কাউন্নারা গ্রামে একটি বাগানবাড়ী নির্মাণ করেন এবং সেখানে দিঘির মাঝখানে একটি প্রমোদ ভবন গড়ে তোলেন যেখানে সুন্দরী নর্তকী বা প্রমোদ বালাদের নাচগান ও পান চলতো। বর্তমানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দৃষ্টিনন্দন ও প্রাসাদের রক্ষনাবেক্ষণ করছে।


কীভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে জনসেবা বা এসবি লিংক গেটলক পরিবহনের বাসে করে মাত্র দুই ঘণ্টায় সাটুরিয়া পৌঁছে যাওয়া যায়। বাসভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৭০ টাকা। সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র ৩০ টাকা রিকশা ভাড়ায় চলে যেতে পারবেন বালিয়াটি জমিদার বাড়ির। 


ভ্রমণ সম্পর্কিত যেকোনো কিছু জানার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন :
রাসেল বিশ্বাস
০১৯৩১৩৯৭৩৩৩ (whats app/viber)
E-mail : biswasrasel996@gmail.com



Saturday, January 13, 2018

ইচ্ছে ঘুড়ি

কিছু মানুষের ইচ্ছের ঘুড়িগুলো উড়ে বেড়ায়, মেঘ পাড়ি দিয়ে কিছু সময় আকাশও ছুঁতে চায়। মনের অন্তহীন গভীরতা থেকে ছুটি নিয়ে উড়ে চলে যেতে চায়। অসীম আকাশপানে চিৎকার করে বলতে চায় আমি উন্মুক্ত, আমি স্বাধীন। আফসোস! মানুষও তো আর ঘুড়ি হতে পারে না, পাখির মতো উড়তেও জানে না। তবে কথায় আছে, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়।


Biswas Rasel

01931-397 333

Wednesday, December 27, 2017

মধুটিলা ইকো পার্ক ( Modhutila Eco-park )

পাহাড়ের চূড়ায় সাইট ভিউ টাওয়ারে উঠলেই চোখ জুড়িয়ে যায় সীমান্ত পেরিয়ে উঁচু উঁচু পাহাড় আর সবুজ অরণ্যের মনোরম দৃশ্য দেখে। দূরের অরণ্যকে একটু কুয়াশাচ্ছন্ন মনে হলেও এর সৌন্দর্যের কোনো কমতি নেই। গারো পাহাড়ের আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথ পেরিয়ে যত দূর এগোনো যায়, ততই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমারোহ। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নে এই মধুটিলা ইকোপার্কটির অবস্থান।
পার্কের গেট পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই নজরে পড়বে উঁচু গাছের সারি। রাস্তা থেকে ডান পাশে খোলা প্রান্তর আর দুই পাশে রকমারি পণ্যের দোকান। রেস্তোরাঁ পেরোলে পাহাড়ি ঢালুর আঁকাবাঁকা রাস্তা। পাহাড়ের প্রবেশপথেই অভ্যর্থনা জানাবে ধূসর রঙের বিশাল আকৃতির শুঁড় উঁচানো পাথরের তৈরি দুটি হাতি।

এরপর যত এগোনো যাবে, ততই মন ভরে যাবে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে। পথে বুনো গাছপালার ফাঁকে ফুটে আছে হরেক রকমের বুনোফুল, তাতে বাহারি প্রজাপতির ওড়াউড়ি। এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার পথে ঝোপঝাড়ে দেখা মিলবে হরিণ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ, বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, হ্রদের ধারে কুমির, ব্যাঙ আর মৎস্যকন্যার অতি চমৎকার সব ভাস্কর্য। আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু পথে ঘন ঘন গাছের সারি গভীর অরণ্যের দিকে চলে গেছে। এখানে উঁচু পাহাড়ের গাছের ছায়ায় বসে কাটানো যাবে দুপুর ও বিকেল।
ইকোপার্কে ঢুকতে জনপ্রতি পাঁচ টাকায় টিকিট কাটার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে আলাদা ফি দিয়ে হ্রদে প্যাডেল বোট চালিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে ভারতে অবস্থিত উঁচু উঁচু পাহাড় আর সীমান্তবর্তী সবুজ গারো পাহাড় দেখতে পাবেন। ভাগ্য ভালো হলে ওয়াচ টাওয়ার থেকেই মিলতে পারে বুনোহাতির দলের দেখা। তারা সাধারণত শেষ বিকেলে অথবা সন্ধ্যায় গভীর অরণ্য থেকে নেমে আসে।
এ ছাড়া চাইলে আলাদা ফি দিয়ে হূদে প্যাডেল বোট চালিয়ে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগও পাওয়া যায়। অন্যদিকে বিভিন্ন রাইড নিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা করে এই ইকোপার্কের মধ্যেই গড়ে তোলা হয়েছে শিশুদের খেলাধুলা ও বিনোদনের জন্য একটি শিশুপার্ক। রয়েছে ডিসপে¬ মডেল, তথ্যকেন্দ্র, গাড়ি পার্কিং জোন, ক্যানটিন, মিনি চিড়িয়াখানা, ঔষধি ও সৌন্দর্যবর্ধক প্রজাতির বৃক্ষ এবং মৌসুমি ফুলসহ বিভিন্ন রঙের গোলাপের বাগান।


বিস্তারিতঃ
০১৭৭৭-৩৭৭ ৫৯৮
০১৯৩১-৩৯৭ ৩৩৩

Saturday, December 23, 2017

হাতি মুড়া (স্বর্গের সিঁড়ি) মায়ুং কপাল

স্বর্গের সিঁড়ি!!!!!!!!!!!!!
খাগড়াছড়ি জেলার উপজেলা সদরের পেরাছড়া ইউনিয়নের মায়ুং কপাল / হাতি মুড়া হচ্ছে একটি পাহাড়ি উঁচু পথ। স্থানীয় অনেকেই আবার একে হাতি মাথা ডাকে। চাকমা ভাষায় যার নাম – এদো সিরে মোন। অনেকে একে স্বর্গের সিড়ি ও বলে থাকেন। খাড়া পাহাড় ডিঙ্গিয়ে দুর্গম এই পথে যাতায়াত করে ১৫টি গ্রামের মানুষ। সদর উপজেলা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম ভাঙ্গামুড়া, বাদলছড়া, মাখণ তৈসা পাড়া,কিনাপা পাড়া,হাজা পাড়া,বগড়া পাড়া,কেশব মহাজনপাড়া, সাধুপাড়া, কাপতলাপাড়ার মানুষের জীবন যাত্রাকে একটিু সহজ করার জন্য নির্মিত হয়েছে ৩০৮ ফুট লম্বা লোহার তৈরি সিঁড়ি।
স্বর্গের সিঁড়িটা মর্ত্যভূমি থেকে উঠে গেছে সোজা উপরের দিকে। পাহাড় আর বনের ফাঁকে ফাঁকে চলা সেই সিঁড়ির শেষ দেখা যায় না। উপরে যেন স্বর্গেই শেষ হয়েছে সিঁড়িটা। বনের মাঝে এঁকে বেঁকে উঠে যাওয়া রাস্তাটা দেখতে ভয়ংকর লাগলেও আসলে তেমন নয়। একটু সাবধানে উঠলেই হবে। স্বর্গে যাওয়া না হলেও এই সিঁড়ি আপনাকে নিয়ে যাবে পাহাড়ের চূড়ায় অসম্ভব সুন্দর গ্রামে। আদিবাসীদের গ্রামগুলোকে পাড়া বলে। ছোট একটি পাড়া আছে এখানে।

Tuesday, December 19, 2017

হিল অফ কুইন দারজিলিং

পৃথিবীর অন্যতম প্রসিদ্ধ টী-স্টেট হলো দারজিলিং । টাইগার হিল থেকে কাঞ্চঞ্জাঙ্ঘার চূড়া আর মেঘপুঞ্জীর মেলা , ছড়িয়ে থাকা সবুজ চা বাগানের সমারহ আর হুট করে ছুটে চলা টয় ট্ট্রেন , পাহাড়ী আঁকাবাঁকা রাস্তার পার ঘেসে সারি সারি নতুন পুরাতণ দালান সব মিলিয়ে এক ছবির মতো নগরী হলো দারজিলিং । দারজিলিং হিল অফ কুইন নামেও পরিচিত । এখানকার হিমালয়া রেলওয়ে স্থান পেয়েছে " ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে"